মুসলিম সাহিত্য সংসদ গ্রন্থাগারে আপনাদের সকলকে জানাই স্বাগত ,      " আসুন শুরু করি সবাই মিলে একসাথে লেখা, যাতে সবার মনের মাঝে একটা নতুন দাগ কেটে যায় আজকের বাংলা"!     কোনো লেখক বা লেখিকা যদি তাদের সুন্দর লেখা আমাদের এই ওয়েবসাইট-এ আপলোড করতে চান তাহলে আমাদের মেইল করুন - kmss1936@gmail.com

আমাদের কার্যক্রম

উদ্দেশ্য :

মুসলমান সমাজে সাহিত্য চর্চার ব্যাপক প্রচলন, বৃহত্তর সিলেটের বাংলা ভাষাভাষী অজ্ঞাতনামা কবি ও সাহিত্যিকগণের রচিত সাহিত্য সংকলন, প্রাচীন পুথি সংগ্রহ এবং মুসলিম সাহিত্যসেবীবৃন্দের সাহিত্য চর্চার সুযোগ প্রদানই এই সংসদের মুখ্য উদ্দেশ্য।

বিনামুল্যে বই পড়ার সুযোগ, দৈনন্দিন জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকা পড়ার সুযোগ। সাপ্তাহিক সাহিত্য আসর।

জীবন সদস্য, সাধারণ সদস্য ও ছাত্র সদস্য হওয়া।সদস্য হওয়ার বিনিময়ে নির্ধারিত ফি দিয়ে বই বাসায় নিয়ে পড়ার সুযোগ।

বিভিন্ন অনুষ্ঠানাদির জন্য হল (২টি) ভাড়া দেয়া।কেমুসাস মতিন উদ্দীন আহমদ জাদুঘর পরিদর্শণ।

সাহিত্য ম্যাগাজিন আল-ইসলাহ প্রকাশ, মননশীল পাঠক ও লেখক তৈরিতে এই প্রাচীন সাহিত্য পত্রিকার রয়েছে অনন্য ভূমিকা।

কত বছর ধরে

৮৭ বছরের ঐতিহ্যে

ভিডিও প্রেজেন্টেশন

বোর্ডের বর্তমান সদস্য

২০২৩-২০২৪ সেশনের জন্য সভাপতি নির্বাচিত হন এম এ করিম চৌধুরী এবং সৈয়দ মবনু সাধারণ সম্পাদক। এই কমিটিতে সহসভাপতি আহমেদ নূর, আফতাব চৌধুরী, অধ্যক্ষ সৈয়দ মুহাদ্দিস আহমদ, মো. আবুল কালাম খান (কালাম আজাদ) ও অধ্যাপক নন্দলাল শর্মা। সহসাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আব্দুস সাদেক লিপন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যক্ষ মো. ছয়ফুল করিম চৌধুরী হায়াত, আল ইসলাহ সম্পাদক আহমদ মাহবুব ফেরদৌস, সাহিত্য ও গবেষণা সম্পাদক মাহবুব হোসেন, লাইব্রেরি সম্পাদক সৈয়দ মোহাম্মদ তাহের, সহকারী লাইব্রেরি সম্পাদক ইছমত হানিফা চৌধুরী। কার্যকরী কমিটির সদস্য অধ্যাপক দেওয়ান এ এইচ মাহমুদ রাজা চৌধুরী, সেলিম আউয়াল, জগলু চৌধুরী, মোস্তাক আহমদ দীন, ড. মো. জফির উদ্দিন (জফির সেতু), রেজওয়ান আহমদ, প্রিন্স সদরুজ্জামান চৌধুরী, মো. জাহেদুর রহমান চৌধুরী, কামাল তৈয়ব, ফায়যুর রাহমান, ইমদাদুল হক নোমানী ও মো. কামরুল আলম।

img

সভাপতি

এম এ করিম চৌধুরী

২০২৩-২০২৪

img

সাধারণ সম্পাদক

সৈয়দ মুমিন আহমদ মবনু

২০২৩-২০২৪

img

সহসভাপতি

আফতাব চৌধুরী
img

সহসভাপতি

সৈয়দ মুহাদ্দিস আহমদ
img

সহসভাপতি

মো.আবুল কালাম খান
img

সহসভাপতি

অধ্যাপক নন্দলাল শর্মা
img

সহসভাপতি

আহমেদ নূর

নিউজ এবং মিডিয়া

বিজয়ের চেতনা লালনের মাধ্যমে যুবকদেরকে দেশ গঠনে এগিয়ে আসতে হবে। এতেই স্বাধীনতা ও বিজয়ের প্রতি সত্যিকার দায়বদ্ধতা রক্ষিত হবে। আমাদের বিজয় ও স্বাধীনতাকে অর্থবহ করার জন্য ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের কল্যাণে কাজ করার বিকল্প নেই। সিলেট নগরীর তারুণ্যদীপ্ত সামাজিক সংঘটন ‘চেতনা যুব পরিষদ’-এর উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে বক্তারা একথা বলেন।

img

কেমুসাস বইমেলায় 'ক' ও 'খ' গ্রুপের উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত পঞ্চেন্দ্রিয় দ্বারা অর্জিত জ্ঞানকে কাজে লাগাতে বক্তৃতা মাধ্যম হিসেবে কাজ করে ষোড়শ কেমুসাস বইমেলা ক্রমেই জমে উঠেছে। নবম দিনে লেখক পাঠকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পাওয়া গিয়েছে। কেমুসাস কর্তৃপক্ষও বইমেলাকে ঘি...

আরো পড়ুন
img

লিডিং ইউনিভার্সিটি, সিলেট-এর ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী আজিজুল মাওলা বলেছেন, বই পাঠ মানুষকে মানবিক করে তোলে একটি সভ্য ও মার্জিত জাতি গঠনে বইপাঠেরবিকল্প নেই। যে জাতিযত বেশিবইপড়ে,তারা তত বেশি নিজেদেরকে আলোকিত করতে পারে।আলোকিত সমাজ গঠনে বইপাঠ প্রভা...

আরো পড়ুন
img

উপমহাদেশের ঐতিহ্যবাহী অন্যতম প্রাচীন সাহিত্য প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের ষোড়শ বইমেলা ক্রমেই জমে উঠছে। প্রতি মুহূর্তেই বাড়ছে পাঠক সমাগম। বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলমান বইমেলাকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ নানা আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছে। বইমেলার ...

আরো পড়ুন
img

কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের ষোড়শ বইমেলা ক্রমেই জমে উঠছে। বইমেলার ষষ্ঠ দিনে ব্যাপক সাড়া পাওয়া গিয়েছে বলে জানান প্রকাশনা সংস্থার কর্ণধাররা। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের উপস্থিতিতে বইমেলায় ফিরে এসেছে প্রাণ। কেমুসাস কর্তৃপক্ষ বইমেলার ষষ্ঠ দিনে প্রতিযোগিতামূলক আয়োজনের মাধ্যমে...

আরো পড়ুন
img

কেমুসাস বইমেলার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পন্ন লেখক ও পাঠকদের সরব উপস্থিতিতে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মাধ্যমে ভাষাসৈনিক মুসলিম চৌধুরীকে নিবেদিত ষোড়শ কেমুসাস বইমেলার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। গত মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় মুস...

আরো পড়ুন
img

কেমুসাসের উদ্যোগে বিজয় দিবসের আলোচনা সভা বিজয়ের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজেদের যোগ্যতার বিকাশ ঘটাতে হবে- আবদুল হামিদ মানিক কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্টগবেষক আবদুল হামিদ মানিক বলেছেন, স্বাধীনতা ও বিজয় আমাদের বহু আকাঙ্খিত স্বপ্ন। দীর্ঘ সংগ...

আরো পড়ুন

৮৭ বছরের প্রাচীন ইতিহাস ও ঐতিহ্যে

আল ইসলাহকে কেন্দ্র করে সিলেটের মুসলিম লেখক-চিন্তকদের মধ্যে একটি সেতু তৈরি হয়।তারা ভাবতে থাকেন অবিভক্ত ভারতে শিক্ষা-সাহিত্য-সংস্কৃতিসহ নানা ক্ষেত্রে মুসলমানরা পিছিয়ে থাকা নিয়ে। তারা ভাবেন কীভাবে কোথায় কে কাকে দমিয়েও রাখে।অতঃপর পিছিয়ে থাকা মুসলিম সমাজকে এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যেই তৎকালীন অগ্রসর চিন্তার মানুষজন মিলে গঠন করেন কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে ।

img

১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে সিলেট সরকারী আলিয়া মাদরাসার একেজন নিরহ প্রকৃতির মুসলিম ছাত্র মুহাম্মদ নুরুল হক কর্তৃক হাতে লিখে ‘অভিযান’ পত্রিকার যাত্রা শুরু হয়েছিলো। পরে এই বছরই আরও অন্যান্যের সাথে পরামর্শক্রমে পত্রিকার নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় আল ইসলাহ। সম্পাদক মুহাম্মদ নুরুল হক। আল ইসলাহের প্রকাশ এখনও অভ্যাহত আছে। মননশীল পাঠক ও লেখক তৈরিতে এই প্রাচীন সাহিত্য পত্রিকার রয়েছে অনন্য ভূমিকা। ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আল ইসলাহে সম্পাদকীয়ও লেখা হয়। এছাড়াও মননশীল পাঠক ও লেখক তৈরিতে এই প্রাচীন সাহিত্য পত্রিকার রয়েছে অনন্য ভূমিকা। ১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দের অক্টোবরে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত মুহম্মদ নূরুল হক আল-ইসলাহ’র সম্পাদক ছিলেন। তার মৃত্যুর বেশ কিছুদিন পর রাগিব হোসেন চৌধুরীর সম্পাদনায় আল ইসলাহ আবার প্রকাশ হয়। পরবর্তীতে কেমুসাসের সাহিত্য সম্পাদক পদাধিকার বলে আল-ইসলাহ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। বিভিন্ন সময় দায়িত্ব পালনকারী আল-ইসলাহ সম্পাদকরা হচ্ছেন- মুহম্মদ নূরুল হক (১৯৩২-৮৭), রাগিব হোসেন চৌধুরী (১৯৯৪-৯৮), এম এ করিম চৌধুরী (১৯৯৮-১৯৯৯। তিনি মাত্র এক সংখ্যা প্রকাশ করেন), আবদুল হাই মিনার (১৯৯৯-২০০০), আজিজুল হক মানিক (২০০১-২০০২), আবদুল হামিদ মানিক (২০০৩-৬), সেলিম আউয়াল (২০০৭-২০১০), নাজমুল আনসারী (২০১১-২০১২), সৈয়দ মবনু (২০১৩-২০১৪), আব্দুস সাদেক লিপন (২০১৫-২০১৬), আবদুল মুকিত অপি (২০১৭-২০২০), সেলিম আউয়াল (২০২১-২০২২, কোন সংখ্যা প্রকাশ হয়নি), আহমদ মাহবুব ফেরদৌস (২০২৩-২৪)। বাংলার ইতিহাসে আল ইসলাহ একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক পত্রিকা।

আল ইসলাহকে কেন্দ্র করে সিলেটের মুসলিম লেখক-চিন্তকদের মধ্যে একটি সেতু তৈরি হয়। তারা ভাবতে থাকেন অবিভক্ত ভারতে শিক্ষা-সাহিত্য-সংস্কৃতিসহ নানা ক্ষেত্রে মুসলমানরা পিছিয়ে থাকা নিয়ে। তারা ভাবেন কীভাবে কোথায় কে কাকে দমিয়েও রাখে। অতঃপর পিছিয়ে থাকা মুসলিম সমাজকে এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যেই তৎকালীন অগ্রসর চিন্তার মানুষজন মিলে গঠন করেন কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ। আল ইসলাহকে কেন্দ্র করে সংগঠন গড়ে তোলার লক্ষ্যে ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দের ১৬ সেপ্টেম্বর হযরত শাহজালাল (র.)-এর দরগার মোতাওয়াল্লি সরেকওম আবু জাফর আব্দুল্লাহর বাড়ির বৈঠকখানায় আলোচনার আয়োজন করেন মুহম্মদ নূরুল হক। সেদিন উপস্থিত ছিলেন এমএলএ এডভোকেট আশরাফ উদ্দিন মোহাম্মদ চৌধুরী, দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ, মকবুল হোসেন চৌধুরী, মৎস্যজীবি নেতা সিকন্দার আলী, কবি আবদুর রাজ্জাক, মুহম্মদ নূরুল হক, সৈয়দ আমিরুল ইসলামসহ সিলেটের তৎকালীন মুসলিম নেতৃবৃন্দ। সভায় মরমী কবি হাসন রাজার পুত্র কবি দেওয়ান একলিমুর রাজাকে সভাপতি এবং দরগার মোতাওয়াল্লী এ জেড আব্দুল্লাহকে সম্পাদক করে সাহিত্য সংসদের প্রথম কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটিতে সহসভাপতি ছিলেন এডভোকেট আশরাফ উদ্দিন মুহাম্মদ চৌধুরী এম এল এ, মোহাম্মদ মকবুল হোসেন চৌধুরী এম এল এ। সহ-সম্পাদক ছিলেন সৈয়দ আব্দুল হাফিজ ও দেওয়ান অহিদুর রহমান রাজা চৌধুরী। সদস্য দেওয়ান আজরফ, সৈয়দ আমিরুল ইসলাম, ইকবাল হোসেন চৌধুরী, মুহাম্মদ সিকান্দর আলী, মুহম্মদ নুরুল হক, মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, আবু মুকতাদির মুহাম্মদ রইস, আবু মোহাম্মদ আব্দুজ্জাহের, মোহাম্মদ আব্দুল বারী চৌধুরী, আব্দুল হাই নুর উদ্দিন।

প্রতিষ্ঠাকালিন সভাপতি দেওয়ান একলিমুর রাজা চৌধুরী দায়িত্বে ছিলেন ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত। এই সময় সাধারণ সম্পাদক ছিলেন দরগাহের মুতায়াল্লী সরেকওম এ জেড আব্দুল্লাহ। ১৯৩৮-১৯৪১ পর্যন্ত মুহাম্মদ নুরুল হক ও আব্দুস সুবহান চৌধুরী ছিলেন যুগ্মসাধারণ সম্পাদক। তখন কোন সাধারণ সম্পাদক ছিলেন না। ১৯৩৮-১৯৪১ পর্যন্ত সভাপতি ছিলেন সয়ফুল আলম খান। ১৯৪১-১৯৪৫ পর্যন্ত সভাপতি ছিলেন দেওয়ান মুহাম্মদ আজরফ। এই সময় মুহাম্মদ নুরুল হককে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। ১৯৪১-১৯৮৭ পর্যন্ত মুহাম্মদ নুরুল হক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৪৫-১৯৪৮ পর্যন্ত সভাপতি ছিলেন নজমুল হোসেন চৌধুরী, ১৯৪৮-১৯৫৪ পর্যন্ত ছিলেন মতিন উদ্দিন আহমদ, ১৯৫৪-১৯৬৭ পর্যন্ত আমীনূর রশীদ চৌধুরী, ১৯৬৭-১৯৬৯ পর্যন্ত এডভোকেট মশতাক হোসেন চৌধুরী, ১৯৫৯-১৯৭০ পর্যন্ত এ জেড বি মজুমদার, ১৯৭০-১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী। সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ নুরুল হকের ইন্তেকালের পর ১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হন নাসীর উদ্দিন আহমদ। ১৯৮৮-১৯৯২ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব আদায় করেন আব্দুল ওয়াহেদ খান, ১৯৯২-১৯৯৪ সেশনে সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম চৌধুরী, ১৯৯৪-১৯৯৮ সেশনে সাধারণ সম্পাদক রাগিব হোসেন চৌধুরী। ১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দে মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরীর ইন্তেকালের পর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হন এ এইচ সাদাত খান। এরপর এজিএমের মাধ্যমে ১৯৯৪-২০০০ পর্যন্ত সভাপতি নির্বাচিত হন দেওয়ান ফরিদ গাজী। এই সেশনে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত রাগিব হোসেন চৌধুরী। ১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দের মে, জুন, জুলাই এই তিন মাস ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এম এ করিম চৌধুরী। ১৯৯৮-২০০২ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সাধারণ সম্পাদক হারুনুজ্জামান চৌধুরী। ২০০১- ৩০ মে ২০০২ পর্যন্ত এ এইচ সাদাত খান ছিলেন সভাপতি, ২০০৩-এর মে মাসে সাদাত খানের ইন্তেকালের পর ভারপ্রাপ্ত হন অধ্যক্ষ মাসউদ খান, পরবর্তী সাধারণ সভায় তিনি ২০০৩-২০০৬-এর জন্য সভাপতি নির্বাচিত হন। তখন আবার রাগিব হোসেন চৌধুরী সাধারণ সম্পাদক হন। (এই কমিটিতে আমি নির্বাহি সদস্য ছিলাম)। ২০০৭-২০১০ সেশনে রাগিব হোসেন চৌধুরী সভাপতি ও হারুনুজ্জামান চৌধুরী সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন (এই কমিটিতেও আমি সদস্য ছিলাম)। ২০১১-২০১৪ পর্যন্ত হারুনুজ্জামান চৌধুরী সভাপতি এবং আবদুল হামিদ মানিক সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন (এই কমিটিতে সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক এবং আল ইসলাহ সম্পাদক সৈয়দ মবনু)। ২০১৫-২০১৮ সেশনে মো. আব্দুল আজিজ সভাপতি ছিলেন। এই সময় ২০১৫-২০১৬ সেশনে আজিজুল হক মানিক সাধারণ সম্পাদক এবং ২০১৭-২০১৮ সেশনে দেওয়ান মাহমুদ রাজা চৌধুরী সাধারণ সম্পাদক ছিলেন (সৈয়দ মবনু ছিলেন যুগ্মসাধারণ সম্পাদক)। ২০১৯-২০২০ সেশনে আ ন ম শফিক সভাপতি এবং দেওয়ান মাহমুদ রাজা চৌধুরী সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। মেয়াদ উত্তীর্ণের পূর্বে সভাপতি আ ন ম শফিক সাহেব ইন্তেকাল করলে এম এ করিম চৌধুরীকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করা হন।

২০২১-২০২২ সেশনে সভাপতি নির্বাচিত হন আবুল মাল আবদুল মুহিত এবং সাধারণ সম্পাদক আবদুল হামিদ মানিক (এই সেশনে সৈয়দ মবনু যুগ্মসাধারণ সম্পাদক), আবুল মাল আবদুল মুহিত মেয়াদ উত্তীর্ণের পূর্বে এপ্রিল ২০২২-এ ইন্তেকাল করলে ভারপ্রাপ্ত হন এডভোকেট মুজিবুর রহমান চৌধুরী। ২০২৩-২০২৪ সেশনের জন্য সভাপতি নির্বাচিত হন এম এ করিম চৌধুরী এবং সৈয়দ মবনু সাধারণ সম্পাদক। এই কমিটিতে সহসভাপতি আহমেদ নূর, আফতাব চৌধুরী, অধ্যক্ষ সৈয়দ মুহাদ্দিস আহমদ, মো. আবুল কালাম খান (কালাম আজাদ) ও অধ্যাপক নন্দলাল শর্মা। সহসাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আব্দুস সাদেক লিপন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যক্ষ মো. ছয়ফুল করিম চৌধুরী হায়াত, আল ইসলাহ সম্পাদক আহমদ মাহবুব ফেরদৌস, সাহিত্য ও গবেষণা সম্পাদক মাহবুব হোসেন, লাইব্রেরি সম্পাদক সৈয়দ মোহাম্মদ তাহের, সহকারী লাইব্রেরি সম্পাদক ইছমত হানিফা চৌধুরী। কার্যকরী কমিটির সদস্য অধ্যাপক দেওয়ান এ এইচ মাহমুদ রাজা চৌধুরী, সেলিম আউয়াল, জগলু চৌধুরী, মোস্তাক আহমদ দীন, ড. মো. জফির উদ্দিন (জফির সেতু), রেজওয়ান আহমদ, প্রিন্স সদরুজ্জামান চৌধুরী, মো. জাহেদুর রহমান চৌধুরী, কামাল তৈয়ব, ফায়যুর রাহমান, ইমদাদুল হক নোমানী ও মো. কামরুল আলম।

পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর রাষ্ট্রভাষার প্রসঙ্গটি সবে উকি ঝুকি মারছে। ক্ষমতায় যারা তাদের স্বপ্ন উর্দূই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা। সে সময় এদেশের মানুষের প্রাণের আকুতি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি সেই ৪৭-এ তুললো সিলেটের কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ। সাহিত্য সংসদই ১৯৪৭ সালের ৯ নভেম্বর রাষ্ট্রভাষা বিষয়ে একটি সভা করে। এই সভাতেই বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মুসলিম চৌধুরী পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা শীর্ষক একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। প্রবন্ধটিতে তিনি বাংলার পক্ষে জোরালো যুক্তি তুলে ধরেন। সেই নভেম্বরেই ৩০ তারিখ সাহিত্য সংসদ রাষ্ট্রভাষা নিয়ে সিলেটের আলিয়া মাদ্রাসা মিলনায়তনে একটি সভার আয়োজন করে। সংসদের তখন নিজস্ব কোন মিলনায়তন না থাকায় আলিয়া মিলনায়তনকেই সভার জন্য বেছে নেয়া হয়েছিলো। প্রধান বক্তা ছিলেন সৈয়দ মুজতবা আলী। তিনি বাংলা ভাষার পক্ষ লেখা দীর্ঘ প্রবন্ধের অংশ বিশেষ পড়তে সক্ষম হয়েছিলেন। সভাটি সুসম্পন্ন হতে দেয়নি উর্দুর সমর্থকরা। সাহিত্য সংসদের উদ্যোগে রাষ্ট্রভাষা বাংলার পক্ষে অনুষ্ঠিত দুটো সভাতেই সভাপতিত্ব করেন মতিন উদদীন আহমদ।

বিশিষ্ট লেখক আবুল ফজল বলেছেন, যে বইটি লেখকের নিজের কাছেও থাকে না, সেই বইটি কেমুসাসের পাঠাগারে পাওয়া যায়। সওগাত সম্পাদক মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন তার ‘বাংলা সাহিত্যে সওগাত যুগ’ নামের যে বিশাল বইটি লিখেছেন এর সবগুলো তথ্য কেমুসাসের পাঠাগার থেকে নেওয়া। নাসির উদ্দিন তার বইটি লেখার জন্য সাহিত্য সংসদে সংরক্ষিত সবগুলো সওগাত পত্রিকা তার নিজের কাছে নিয়ে যান। অবশ্য পত্রিকাগুলো আর ফেরত দেওয়া হয়নি। বদরউদ্দিন উমর তার ভাষা আন্দোলন বইয়ের ভূমিকায় উল্লেখ করেছেন বইয়ের তথ্যগুলো কেমুসাস থেকে সংগৃহীত। কেমুসাসের পাঠাগারে এখন বইয়ের সংখা প্রায় লক্ষাধিক। পাঠাগারে সংরক্ষিত বইয়ের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে বেশির ভাগ বইয়ের বয়স ষাট বছরের বেশি। এখনো অনেক লেখক তার পুরনো বইটি সাহিত্য সংসদের পাঠাগারে খোঁজ করেন। মাত্র ১৯টি বই নিয়ে সাহিত্য সংসদের পাঠাগারের যাত্রা শুরু হয়েছিলো। এখন প্রতিদিন শত শত পাঠক সাহিত্য সংসদ পাঠাগারে বসে বই, পত্রিকা, ম্যাগাজিন পড়তে পারেন। বই বাড়িতে নিয়ে পড়ারও ব্যবস্থা আছে। পাঠাগারে বইয়ের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। সাহিত্য সংসদ বই পড়ায় উৎসাহ দেবার জন্যে প্রতি বছর শ্রেষ্ঠ পাঠককে পুরস্কার দিয়ে থাকে।

প্রথম কেমুসাস বইমেলা হয় ২০০০ সালের ২৪, ২৫ ও ২৬ মার্চ। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে তিনদিন ব্যাপী বইমেলার আয়োজন করা হয়। প্রথম কেমুসাস বইমেলার উদ্বোধন করেন তৎকালীন দেওয়ান ফরিদ গাজী। এই ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয় বইমেলা ২০০৫, তৃতীয় বইমেলা ২০০৬, চতুর্থ বইমেলা ২০০৭, পঞ্চম বইমেলা ২০০৯, ষষ্ঠ বইমেলা ২০১২, সপ্তম বইমেলা ২০১৪, অষ্টম বইমেলা ২০১৫, নবম বইমেলা ২০১৬, দশম বইমেলা ২০১৭, একাদশ বইমেলা ২০১৮, দ্বাদশ বইমেলা ২০১৯, ত্রয়োদশ বইমেলা ২০২০ চতুর্দশ বইমেলা ২০২১ এবং পঞ্চদশ কেমুসাস বইমেলা ২০২২ সালের মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত হয়। আবহাওয়ার প্রতিকূলতার কথা বিবেচনা করে এবং বিজয়ের মাস উপলক্ষে ষোড়শ কেমুসাস বইমেলা ডিসেম্বর মাসে করার সিদ্ধান্ত নেন কেমুসাস কর্তৃপক্ষ। ১০ ডিসেম্বর ২০২২ থেকে ২০ ডিসেম্বর ২০২২ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে কেমুসাস বইমেলা।

কেমুসাসের সাবেক সভাপতি ভাষাসৈনিক মতিন উদ্দীন আহমদের নামে চার হাজারেরও বেশি সংগ্রহ নিয়ে প্রতিষ্ঠিত একটি জাদুঘর আছে। মানুষ বিক্রির দলিল, প্রাচীন নাগরিলিপি, দুইমণ ওজনের হাতির দাঁত, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিভিন্ন স্মৃতি, ১৩শ শতাব্দির কালো পাথরে তৈরি তৈজসপত্র ও কামারসহ কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাওয়া অসংখ্য স্মৃতি ধারণ করে আছে এই জাদুঘরটি।

ইভেন্ট

কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ, সিলেটের আয়োজন :

২১ ফেব্রুয়ারী
২০২৩

কনফারেন্স

শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।

১৭ মার্চ
২০২৩

কনফারেন্স

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস

২৬ মার্চ
২০২৩

কনফারেন্স

স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস।

১৫ আগস্ট
২০২৩

কনফারেন্স

জাতীয় শোক দিবস।

১৬ সেপ্টেম্বর
২০২৩

কনফারেন্স

কেমুসাস প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী।

১৬ ডিসেম্বর
২০২৩

কনফারেন্স

বিজয় দিবস।

২০২৩

কনফারেন্স

ভাষাসৈনিক সংবর্ধনা/সম্মাননা।

২০২৩

কনফারেন্স

বার্ষিক সাধারণ সভা।

২০২৩

কনফারেন্স

মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা/সম্মাননা।

২০২৩

কনফারেন্স

বইমেলা।

২০২৩

কনফারেন্স

তরুণ সাহিত্য পুরস্কার।

২০২৩

কনফারেন্স

সাহিত্য আসর।

২০২৩

কনফারেন্স

কেমুসাস দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন।

২০২৩

কনফারেন্স

মৃত্যুবার্ষিকী/স্মরণসভা।

২০২৩

কনফারেন্স

ঈদে মিলাদুন্নবী।

২০২৩

কনফারেন্স

অন্যান্য।

কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ
দরগাগেইট, সিলেট।
মোবাইল : ০১৬১১ ৭১৯০০১
ই-মেইল : kmss1936@gmail.com

মূল্যবান বার্তা

বিজয়ের চেতনা লালনের মাধ্যমে যুবকদেরকে দেশ গঠনে এগিয়ে আসতে হবে। এতেই স্বাধীনতা ও বিজয়ের প্রতি সত্যিকার দায়বদ্ধতা রক্ষিত হবে। আমাদের বিজয় ও স্বাধীনতাকে অর্থবহ করার জন্য ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের কল্যাণে কাজ করার বিকল্প নেই। সিলেট নগরীর তারুণ্যদীপ্ত সামাজিক সংঘটন ‘চেতনা যুব পরিষদ’-এর উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে বক্তারা একথা বলেন।

img
img
img

পাব্লিকেশন

কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ, সিলেট এর সাবেক সভাপতি, বিশিষ্ট কবি ও সংগঠক রাগিব হোসেন চৌধুরী বলেছেন, সুদীর্ঘ কাল ধরে ভালো লেখক তৈরীর কাজ করে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ। এই সংসদের সাহিত্য আসরের অনেক লেখক বাংলা সাহিত্যে কৃতিত্বের সাক্ষর রেখেছেন। অতীতের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে আগামীতেও এই আসর থেকে অনেক কৃতী লেখক বেরিয়ে আসবেন বলে আমার বিশ্বাস। তিনি কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের ২০২১-২২ সেশনের বিদায়ী ও ২০২৩-২৪ সেশনের প্রথম (১১৪১তম) নিয়মিত সাপ্তাহিক সাহিত্য আসরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

img
img
লিপিকা

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৳ ৮৬   ৳ ১০০
img
img
গণ-দেবতা

তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়

৳ ২৫৫   ৳ ৩০০
img
img
হুতোম প্যাঁচার নকশা

কালীপ্রসন্ন সিংহ

৳ ১৭৬   ৳ ২৩০
img
img
বামুনের মেয়ে

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

৳ ৫১০   ৳ ৬০০
img
img
বালুচর

জসীম উদ্দীন

৳ ১৩৫   ৳ ১৮০

আমাদের পরিষেবা

বিজয়ের চেতনা লালনের মাধ্যমে যুবকদেরকে দেশ গঠনে এগিয়ে আসতে হবে। এতেই স্বাধীনতা ও বিজয়ের প্রতি সত্যিকার দায়বদ্ধতা রক্ষিত হবে। আমাদের বিজয় ও স্বাধীনতাকে অর্থবহ করার জন্য ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের কল্যাণে কাজ করার বিকল্প নেই। সিলেট নগরীর তারুণ্যদীপ্ত সামাজিক সংঘটন ‘চেতনা যুব পরিষদ’-এর উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে বক্তারা একথা বলেন।

img
img
এয়ার কন্ডিশন
img
লাইব্রেরি
img
কনফারেন্স রুম
img
ওয়াই-ফাই
img
ফায়ার সেফটি
img
অফিস রুম
img
জেনারেটার
img
বল রুম